দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সদকী ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৬ বছর পর জমি ফিরে পেলেন বৃদ্ধা ভিক্ষুক। বৃহস্পতিবার সকালে মালিয়াট গ্রামে সরেজমিন জমি মাপজোকের মাধ্যমে তার বসতবাড়ির জমি বুঝে দেয়া হয়েছে।
বৃদ্ধা ভিক্ষুক সদকী ইউনিয়নের মালিয়াট গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম(৭০)।
এলাকাবাসী জানান, ভিক্ষুক আম্বিয়া বেগম প্রায় ২৫ বছর পূর্বে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে অনেক কষ্ট করে মালিয়াট মৌজার তালোয়া মাজার সংলগ্ন ৬ কাঠা জমি ক্রয় করেন। এবং সেই থেকে ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে বসবাস করতেন। তার কোন ছেলে সন্তান না থাকায় দুই মেয়ে তার ক্রয়কৃত জমিতে তার সাথেই বসবাস করতেন। ৬ বছর পূর্বে তার মেজো মেয়ের ছেলে ইকবাল হোসেন তার নিকট থেকে ৫ কাঠা জমি ক্রয় করে রেজিষ্ট্রেশনের সময় কৌশলে ১ কাঠা জমি পিছনের ডোবার মধ্যে ফেলে রাখেন। এবং ৭/৮ মাস পূর্বে ইকবালের লোকজন তার বসতঘর ভেঙে দেয়। সেই থেকে তিনি ও তার বড় মেয়ে তালোয়া মাজারের মাদ্রাসার একটি কক্ষে বসবাস করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দরখাস্ত ও কুমারখালী থানায় অভিযোগ দিয়েও সুরাহা হয়নি। শেষ পর্যন্ত সদকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদের মাধ্যমে বৃদ্ধা ভিক্ষুক তার জমি ফিরে পেয়েছেন। এসময় স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করে বৃদ্ধার জমি সম্মুখ ভাগ থেকে বুঝে দেয়া হয়েছে।
সদকী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মজিদ জানান, ভিক্ষুকের মেজো মেয়ের ছেলে ইকবাল অবস্থা সম্পন্ন হবার কারনে সকলে তার পক্ষেই কথা বলতো। যেকারণে বৃদ্ধা তার জমি ফিরে পাননি এতোদিন। এলাকার গণ্য মান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালিসি বৈঠকের মাধ্যমে রাস্তা সংলগ্ন জমি বৃদ্ধাকে বুঝে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply